আজ মঙ্গলবার, ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লকডাউনেও সরব সব

সাইফুল সুমন
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলো নিরব ছিলো। বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির টহল ছিলো চোঁখে পরার মতো। প্রয়োজনীয় পরিবহন ছাড়া শহরে প্রবেশ নিষেধ ছিলো সকল পরিবহন। তবে নিরব থাকা রাস্তাগুলো এখন আর নিরব নেই। প্রতিটি রাস্তায় গণপরিবহন ছাড়া, ট্রাক, টেম্পু, সিএনজি, কন্টিনার, পিকাপ ভ্যান, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, ব্যটারি চালিত রিক্সা, পায়ের রিক্সা, এমনকি গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলাচলের জন্য স্টাফবাস সহ বিভিন্ন পরিবহন অবাধে চলাচল করছে। বিভিন্ন স্থানের যানজটে ফুটে উঠেছে শহরের আগের চিত্র।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এখনো সরকার ঘোষিত লকডাউন চলমান রয়েছে। চলমান লকডাউনেও গার্মেন্টস শিল্প, শপিংমল,সহ বিভিন্ন অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর এমন নির্দেশের পর থেকেই শহর সহ পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা ঠিক আগের রুপ ফিরে পেতে শুরু করেছে। কোথাও নেই আইন শৃঙ্খলা বাহীনির টহল। শহরে প্রবেশ করছে প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সকল প্রকার পরিবহন। বাধঁ নেই ট্রাফিক পুলিশের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রতিটি সড়ক ঠিক আগের রুপ ধারন করেছে। বঙ্গবন্ধু সড়ক, ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ পুড়াতন সড়ক, লিংক রোডসহ শহরের প্রতিটি রাস্তায় গণপরিবহন ছাড়া সকল প্রকার পরিবহন চলাচল করছে। আর এইসব পরিবহনে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে অসচেতন ভাবে। বিভিন্ন পরিবহন( টেম্পু, সিএনজি, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, ব্যটারি চালিত রিক্সা, পায়ের রিক্সায়) সাধারন মানুষ সামাজিক দুরত্ব না মেনেই চলাচল করছে। আবার অনেকের মুখে মাস্কও নেই। একজন অন্যজনের সাথে চাপাচাপি করে একটি ছোট পরিবহনে চলাচল করছে ৫ থেকে ৮ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রখম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথমেই নারায়ণগঞ্জের ২ জন আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়। পরে ৮ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত জেলার ৮ জন আক্রান্ত হয় । তবে ৩০ মার্চ বন্দরে প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যুর পর থেকেই বেড়েছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকোতে জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় লকডাউন থাকার পর। সরকারের নির্দেশনায় বিভিন্ন স্থানের অবস্থিত কারখানা ও শপিংমল খোলা হয়। তবে খোলার আগে সংক্রমন ঠেকাতে কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে। সামাজিক দুরত্ব মেনে কাজ করা। ছুটি ও কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সচেতন হয়ে যাওয়া ও কেনাকাটা করতে গেলে মস্ক পরিধান করে সামাজিক দুরত্ব মেনে করা সহ বিভিন্ন নির্দেশনা ছিলো। তবে বর্তমান চিত্র অনেকটা ভিন্ন। অসচেতন ভাবে চলাচল করছে পরিবহন গুলোতে। কর্মস্থলে একে অন্যের সাথে মিশে কাজ করছে। ছুুটি ও কর্মস্থলে প্রবেশের চিত্র দেখলে মনে হবে এ এক জনসমুদ্র। তাই দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা।